গাজায় ইসরাইলি আক্রমণ শুরুর পর থেকে যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় কাজ করে এসেছে কাতার। তবে এই ভূমিকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে উপসাগরীয় দেশটি।
শনিবার (৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবেদনে কাতার তার মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা থামানোর প্রাথমিক কারণ হিসাবে ‘ভালো-বিশ্বাসের আলোচনার’ অভাবকে উল্লেখ করেছে।
শনিবার কাতারের এক কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস ও ইসরাইল আলোচনার টেবিলে আন্তরিকভাবে ফিরে আসার আগ্রহ দেখানোর আগ পর্যন্ত তাদের এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
ওই কর্মকর্তার ভাষ্য, হামাস এবং ইসরাইলকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যুদ্ধ বন্ধে উভয় পক্ষ আন্তরিকভাবে আগ্রহী হলেই কেবল মধ্যস্থতা করতে রাজি কাতার।
এটি ইঙ্গিত করে, কাতারের কূটনৈতিক উদ্যোগ সত্ত্বেও, বিভিন্ন দফা আলোচনার আয়োজন করা এবং সংলাপের সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া সত্ত্বেও, যুদ্ধবিরতির দিকে অর্থপূর্ণ অগ্রগতি হয়নি। এছাড়া হামাস এবং ইসরাইল দুপক্ষই যথেষ্ট গঠনমূলক সম্পৃক্ততা দেখা যায়নি।
কাতার দীর্ঘদিন ধরে গাজা ইস্যুতে মানবিক প্রচেষ্টা এবং কূটনৈতিক উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য তার প্রভাব ব্যবহার করেছে। এখন মধ্যস্থতা স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি গুরুতরভাবে প্রভাব পড়তে পারে।
মূলত এই পদক্ষেপটি মধ্যস্থতাকারী এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান হতাশার প্রতিফলন। যারা দীর্ঘস্থায়ী সহিংসতা, গাজায় মানবিক সংকট এবং টেকসই শান্তির দিকে নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বিগ্ন।
এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত দোহার একজন কূটনীতিক সিএনএনকে জানিয়েছেন, কাতারের রাজধানীতে হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হামাসের কার্যালয় বন্ধ করে দিতে কাতারকে অনুরােধ করেছে জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন।
Leave a Reply