ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দেশটির সেনাবাহিনীকে ইসরাইলে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমসের বরাতে ইসরাইল টাইমসও এই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে জানা যায়, ইরানি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তেহরানের সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে অক্টোবরের শুরুর দিকে যে হামলার কড়া জাবাব দিতেই এই হামলা চালাবে তারা। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বরের ৫ তারিখ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগে ইরান হামলা চালাবে না। তবে অন্যান্য আরও বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ৫ তারিখের আগেই হামলা চালাতে পারে তেহরান।
গত ১লা অক্টোবর ইসরাইলে ১৮১টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে ইরান। এর জবাবে ২৬ অক্টোবর ইরানের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। এতে ইরানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ইরান প্রথমে দাবি করেছিল ইসরাইলি হামলায় তাদের খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে পরবর্তীতে হামলার তীব্রতা পর্যবেক্ষণ ও চার সেনার মৃত্যুর পর আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি গত সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বলেন, ইসরাইলকে এই হামলার জবাব দিতে হবে। নয়ত তারা ‘পরাজিত’ হিসেবে অভিহিত হবেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস থেকে জানা যায়, ইসরাইলি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরান নিজেদের ভূখণ্ড থেকে হামলা না চালিয়ে ইরাক থেকে হামলার পরিকল্পনা করছে। আর এই হামলায় কয়েকশ ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করা হতে পারে। ইরাক থেকে হামলা চালালে ইসরাইল সরাসরি ইরানে হামলা চালাবে না। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এভাবে তেহরান তাদের কৌশলগত স্থাপনার ওপর হামলা এড়াতে পারবে।
এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, তারা ইতোমধ্যে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বেশিরভাগই ধ্বংস করেছে। তবে, ইরান দাবি করেছে তারা ইসরাইলের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্ষম হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) খামেনির এক মুখপাত্র জানান, খামেনি ইসরাইলের হামলা ঠেকাতে অনন্য ভূমিকা রাখায় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রশংসা করেছেন। এসময় তিনি আরও উল্লেখ করেন, হামলায় তেমন কিছু ক্ষতি হয়নি।
Leave a Reply