সীমিত জনবল এবং বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান। সোমবার (২ জুলাই) দুপুরে জাতীয় আর্কাইভ এবং গ্রন্থাগার, আগারগাঁওতে আয়োজিত গুজব, সাইবার বুলিং প্রতিরোধ এবং নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এই তথ্য জানান।
আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইসিটি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সিসহ সরকারের একাধিক মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান কাজ করছে । সকলে মিলে সাইবার ঝুঁকি, সাইবার অপরাধ মোকাবেলায় কাজ করছে। এগুলোর প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী।এছাড়া আমাদের সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদেরও এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। অনলাইন স্পেসে নিরাপদ রাখতে ব্যক্তিসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।
আলোচনায় পাসওয়ার্ড নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করেন ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সের কম্পিউটার সাইন্সে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাফায়েত হোসেন। প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তিনি কিভাবে মজবুত পাসওয়ার্ড দিতে হয়, পাসওয়ার্ডের বিভিন্ন কম্পিনেশন এবং হ্যাকারের হাত থেকে পাসওয়ার্ড সুরক্ষার বিভিন্ন কৌশল তুলে ধরেন।
জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির সহকারী পরিচালক (প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপম্যান্ট) ইঞ্জিনিয়ার মো. নাইম খান অনলাইনে ফিশিং আক্রমন এবং সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ সেশন গ্রহন করেন। তিনি ভিডিও গ্রাফির মাধ্যমে কিভাবে হ্যাকাররা ফিশিং আক্রমন এবং সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করেন তার বিস্তারিত তুলে ধরে এসব থেকে বাঁচার উপায় তুলে ধরেন।
আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সালমা জাহান বলেন, তথ্য বহুল একটি সেমিনারের আয়োজন করায় জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সিকে ধন্যবাদ জানাই। বর্তমান অনলাইনের যুগে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। অনলাইনে বিশেষ করে মেয়েরা বেশি সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়। তাই অনলাইনে নিরাপদ থাকতে সাইবার হাইজিন মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া সমৃদ্ধ আরকাইভস ও গ্রন্থাগার পরিদর্শনের আহ্বানও জানান তিনি।
ইনফোসেক বুলেটিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এছাড়া অনলাইনে নিরাপদ থাকতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার, সাইবার হাইজিন মেনে চলা এবং গুজব প্রতিরোধে জেনে-বুঝে তথ্য শেয়ার করা, দেখা মাত্রই যে কোনো লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকা সহ নানা বিষয় বক্তাদের আলোচনায় উঠে আসে। এছাড়া অনলাইনে নিরাপদ থাকতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই বলেও জানান বক্তারা।
আয়োজনে বিভিন্ন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনে সহযোগী হিসাবে ছিলো ইনফোসেক বুলেটিন।
Leave a Reply