1. news.infotreat@gmail.com : admin :
  2. iftesyfunmarjan@gmail.com : ifte syfun : ifte syfun
  3. hoque.mdnurul@yahoo.com : nurul haque : nurul haque
  4. salmabintasayed98@gmail.com : Salma : Salma
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দল যেভাবে সাজাতে চান নতুন কোচ আকিব জাভেদ ব্যাংককে একান্তে সময় কাটাতে গিয়ে ক্যামেরাবন্দি রাফসান-জেফার চায়ের পরপরই পানি পান করলে যা হয় ব্রিটেনের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী জন প্রেসকট মারা গেছেন ইসি গঠন করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিলো সরকার আজ বেলা সাড়ে তিনটায় সেনাকুঞ্জের উদ্দেশে বের হবেন বেগম খালেদা জিয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৬ মামলা বাতিল ‘নতুন দেশে সব মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করাই সরকারের লক্ষ্য’ ভুটান বাংলাদেশে হাইড্রো ইলেকট্রনিক পাওয়ার রফতানি করতে আগ্রহী: আমির খসরু সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান

প্রতি বছর ৮০৬৮ নারী আক্রান্ত হয় জরায়ুমুখ ক্যান্সারে

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪
  • ৬২ বার পঠিত

বাংলাদেশের নারীদের ক্যান্সারের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জরায়ুমুখ ক্যান্সার। গ্লোবোকান ২০২০ এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতি বছর নতুন করে ৮০৬৮ জন নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রায় ৫ হাজার নারীই মৃত্যুবরণ করেন। অথচ এটি একটি প্রতিরোধযোগ্য ক্যান্সার।

জরায়ুমুখ ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষে গোল টেবিল বৈঠকে এসব তথ্য উঠে আসে। সোমবার ( ২২ জানুয়ারি) ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষের আয়োজনে গোল টেবিল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ১ ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য ছয়জন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

তারা হলেন- হাসপাতালটির গাইনী অনকোলজী প্যানেলের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপকডা. সাবেরা খাতুন, অধ্যাপক ডা. সাহানা পারভীন এবং অধ্যাপক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস, অনকোলজী প্যানেলের ছিলেন অধ্যাপক ডা. পারভীন আক্তার বানু, অধ্যাপক ডা. মো. এহতেশামুল হক, বিগ্রে. জেনা. (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. ইউছুফ আলী। এই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন গাইনী ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. সিলভিয়া হোসেন (মিথুন)।

সারা বিশ্বের মত তাই জরায়ুমুখ ক্যান্সার বিষয়ে সচেতন করতে Learn, Prevent, Screen এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখেই গোল টেবিল বৈঠকের শুরুতে প্রফেসর ডা. সাবেরা খাতুন জানান, এইচপিভি ভাইরাস দিয়ে জরায়ু ক্যান্সার হয় কিন্তু এই ভাইরাস দেহের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থার মাধ্যমে ২ বছরের মধ্যেই শরীর থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু যাদের ১৮ বছরের নিচে বিয়ে হয়/ যৌন সংযোগ ঘটে, বহুবিবাহ হয়, অল্প বয়সে ১ম বাচ্চা হয়, ঘন ঘন বাচ্চা হয়, দীর্ঘদিন একটানা (৫ বছরের বেশি) জন্ম বিরতিকরণ পিল খায়, ধূমপান করেন তাদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস দীর্ঘস্থায়ী হয়ে জরায়ুমুখের পরিবর্তন ঘটায় এবং প্রায় ১০-১৫ বছর পর তা ক্যান্সারে রূপ নেয়। তাই যদি সচেতন হওয়া যায়, এইচপিভি ভ্যাকসিন নেওয়া হয়, ৩০-৬০ বছর বয়সে নিয়মিত ভায়া/প্যাপস/এইচপিভি ডিএনএ ভাইরাস পরীক্ষা করালে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

প্রফেসর জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ৯-১৪ বছর বয়সী কিশোরী কন্যাদের ১ ডোজ এইচপিভি ডিএনএ ভ্যাকসিন দিলে তা শতভাগ কার্যকরী। ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন নেয়া যাবে। সরকারিভাবে গত বছরের অক্টোবর মাসে ৯-১৪ বছর বয়সী কন্যাদের টীকা দেওয়া হয়েছে। ইপিআই-এ অচিরেই এই ভ্যাকসিন যুক্ত হবে বলে আশাবাদী চিকিৎসকরা। বর্তমানে বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন সেন্টারে পাওয়া যাচ্ছে এই ভ্যাকসিন। তবে ভ্যাকসিন নিলেও ৩০ বছর বয়সী নারীদের নিয়মিতভাবে স্ক্রিনিং অবশ্যই করতে হবে।

প্রফেসের ডা. সাহানা পারভীন জানান, ক্যান্সারের পূর্ববর্তী এবং ক্যান্সারের শুরুতে সাধারণত তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। যখন ক্যান্সার ছড়াতে শুরু করে তখনই অনিয়মিত মাসিক, সহবাসের পর রক্তপাত, মেনোপোজের পর রক্তপাত, অতিরিক্ত দুর্গন্ধযুক্ত সাদাস্রাব শুরু হয়। স্ক্রিনিংয়ে যখনই জরায়ুমুখের পরিবর্তন ধরা পড়ে অথবা জরায়ুমুখের টিউমার দেখা দেয় তখন অবশ্যই একজন গাইনী ক্যান্সার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। শুরুতেই ক্যান্সার কোন পর্যায়ে আছে তা নির্ধারণ করতে হবে, কারণ স্টেজ অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি ভিন্ন।

ডা. পারভীন আক্তার বানু জানান, প্রথমে জরায়ুমুখের উপর থেকে রেডিওথেরাপী সাথে কেমোথেরাপী দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে জরায়ুমুখের নিচ দিয়ে রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়। থেরাপী চলাকালীন বা পরবর্তিতে যে সমস্যাগুলো হয় তা খুব সামান্য। থেরাপির জায়গা একটু শক্ত হয়ে যেতে পারে, মাসিকের রাস্তা সরু হয়ে যেতে পারে এবং পায়খানা প্রস্রাবের সাথে হালকা রক্ত যেতে পারে। কিন্তু এখন এতো ভালো আধুনিক রেডিওথেরাপির মেশিন আছে এবং চিকিৎসা আছে তাতে এই সমস্যাগুলো খুব কমই হয়ে থাকে।

ডা. এহতেশামুল হক বলেন, সারা বিশ্বের মত আমাদের দেশেও রেডিও থেরাপী মেশিনের অপ্রতুলতা রয়েছে, তবে বেসরকারি খাতে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে।

সবশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়
১. জরায়ুমূখ ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি
২. কিশোরী কন্যাদের ভ্যাকসিন দেয়া
৩. ৩০-৬০ বছরের নারীদের স্ক্রিনিং করা
৪. বাল্য বিয়েকে না বলা
৫. বহুবিবাহ/একাধিক যৌনসঙ্গী বর্জন করা
৬. ধূমপান পরিহার করা
৭. ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ খেয়াল করা মাত্রই যত দ্রুত সম্ভব গাইনী ক্যান্সার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া এবং সঠিক স্থানে চিকিৎসা করানো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© All rights reserved © 2024 NEWS NOW BD
Theme Customized By Shakil IT Park