কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। টেকনাফ ও চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন। পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সাত উপজেলার বেশিরভাগই পানির নিচে। এদিকে, বৃষ্টি কমার পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া থেকে দুই শিশুসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজারের সদর, চকরিয়া, পেকুয়া, রামু, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নের দুইশ গ্রাম বন্যায় প্লাবিত। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ ও চট্টগ্রামের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্পে কাজ করছে সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন।
এদিকে, বৃষ্টি না থাকায় খাগড়াছড়িতে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। আশ্রয় কেন্দ্র থেকে লোকজন বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তবে ধীরগতিতে পানি নামায় জেলার দীঘিনালায় আড়াই শতাধিক পরিবার এখনো আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে। সাজেকসহ রাঙ্গামাটির দুই উপজেলা বাঘাইছড়ি ও লংগদুর সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন। পানিবন্দী মানুষের দুর্গতির পাশাপাশি, পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অর্ধশতাধিক পরিবার। ভেসে গেছে শত শত পুকুরের মাছ। শাক-সবজিসহ ফসলের জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এক সপ্তাহের টানা বর্ষণ শেষে কমেছে বৃষ্টি। বন্যার পানি ওঠায় বন্ধ থাকা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে আবার যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। বৃষ্টিপাত কমায় বিভিন্ন জায়গার জলজট সরে যাচ্ছে। নামিয়ে ফেলা হয়েছে সতর্ক সংকেত। পরিস্থিতির উন্নতি আশা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে। পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে কয়েকশ গ্রাম। সাত উপজেলার অধিকাংশই এলাকা এখন পানির নিচে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে দেড় শতাধিক স্কুল দুর্গতদের আশ্রয়ের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। পাহাড় ধসে অভ্যন্তরীন সড়কে মাটি পড়ে যাওয়ায় জেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
পানি নামতে শুরু করায় ফেনীতেও বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।
Leave a Reply