হঠাৎ করেই পাকিস্তানে মেয়েদের কবরে তালা দেওয়ার ঘটনা বাড়ছে। শুনলে অবিশ্বাস্য বলে মনে হলেও পাকিস্তানে ঘটছে এমনটাই। জানা গেছে, দেশটিতে বাড়ছে বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষের সংখ্যা। এমনকি তারা সমাধি থেকে মৃতদেহ তুলে ধ-র্ষ-ণ করছে। আর তাই পরিবারের নারী সদস্যদের কবরগুলিতে তালা দেওয়া শুরু হয়েছে। পাকিস্তান ভিত্তিক ডেইলি টাইমস ‘আনসেফ ইন গ্রেভস’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করেছে। যেখানে এমন লোমহর্ষক ঘটনা সামনে এসেছে।
প্রকাশনাটি বলেছে- ‘নারীদের কবরের উপর তালা লাগানোর হৃদয় বিদারক দৃশ্য সমগ্র সমাজকে লজ্জায় মাথা নত করে দেয়। দানবদের লালসা থেকে মৃতদেহের পবিত্রতা নিশ্চিত করার জন্য এই চেষ্টা চালাচ্ছেন পাকিস্তানি বাবা-মায়েরা।’
পাকিস্তানে নেক্রোফিলিয়া অর্থাৎ মৃতদেহের সঙ্গে যৌনতার অভিযোগ নতুন নয়। গত কয়েক বছরে কবর থেকে নারীদের দেহ তুলে সেই দেহকে যৌন প্রবৃত্তি নিবৃত্তির কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে নেক্রোফিলিয়া বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা বিষয়টি হাইলাইট করেছেন এবং লোহার গেট ও প্যাডলক দেয়া সুরক্ষিত কবরের ছবি শেয়ার করেছেন।
হ্যারিস সুলতান নামে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ও প্রাক্তন মুসলিম নাস্তিক কর্মী লিখেছেন- কট্টর ইসলামপন্থী মতাদর্শ এই ধরনের কাজের জন্য দায়ী।
সুলতান লিখেছেন- পাকিস্তান এমন একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ, যৌন-ক্ষুধার্ত সমাজ তৈরি করেছে, মানুষ এখন নারীদের কবরে তালা লাগাচ্ছে। যাতে তাদের ধ-র্ষ-ণ না করা হয়।
এর আগে, ২০১১ সালে, করাচি শহর থেকে মুহাম্মদ রিজওয়ান নামে একজন কবর রক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কারণ সে ৪৮টিরও বেশি নারী মৃতদেহের সঙ্গে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছিলো। গত বছরের মে মাসে পাকিস্তানের গুজরাটের চক কমলা গ্রামে একটি কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, তাঁকেও ধ-র্ষ-ণ করা হয়েছিলো।
আশ্চর্যজনকভাবে ঘটনাটি ঘটে সেই রাতেই, যে রাতে মেয়েটির পরিবার তাকে দাফন করেছিল। ২০২১ সালে, উপকূলীয় শহর গোলামুল্লাহর কাছে মৌলভী আশরাফ চান্দিও গ্রামে একটি সদ্য কবর দেওয়া কিশোরী মেয়েকে ধ-র্ষ-ণ করেছিল কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি। মৃতের পরিবার জানায়, সেই গ্রামের জমিদারের ছেলে স্থানীয় কিছু গুন্ডাদের নিয়ে এই জঘন্য অপরাধ করে। একইভাবে ২০২০ সালে পাঞ্জাব প্রদেশের ওকারায় একটি কবরস্থানে একজন মহিলার মৃতদেহকে ধ-র্ষ-ণ করার সময় এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরা হয়েছিল। সূত্র : ইউওনিউজ ডটকম।
Leave a Reply